
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেয়ার ইতিহাস যাদের কাছে, তাদের নিয়ে যুবলীগের কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে নগরের দি কিং অব চিটাগাং-এ নগর যুবলীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নওফেল বলেন, ২০১৩ সালে যারা ধ্বংসাত্মক ও সহিংস রাজনীতি করে তখন হাতে লাঠি নিয়ে যুবলীগ জবাব দিয়েছে। কারা কোথায় কী করছে যুবলীগ সেসব তালিকা করে মোকাবিলা করেছে। সেজন্যই চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়ে যায়নি। শেখ হাসিনা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যখন শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করা হয়েছিল, গুলি করা হয়েছিল, তখন যুবলীগের কর্মীরা গুলি বুকে পেতে নিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছিল। ‘৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের কর্মীরা স্যালাইন নিয়ে গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছিল।
নওফেল যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশকে অনুরোধ করে বলেন, যাদের ১৯৯১ ও ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস আছে তাদের কমিটিতে নিয়ে আসার অনুরোধ করছি। তারা কী করেছে সেই ইতিহাস যেন ঘেঁটে দেখা হয়। সেই সাথে যেন দেখা হয় যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাও।
নওফেল বলেন, আমাদেরকে আদর্শিক চর্চা করতে হবে। আদর্শিক চর্চা করতে হলে ব্যক্তি বিশেষের স্লোগান বর্জন করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষ দিয়ে রাজনীতি হবে না। আগামী নির্বাচনে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অপরাজনীতির শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে যুবলীগকে।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। উদ্বোধক ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা ছিলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।
বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মোহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাইফুর রহমান সোহাগ, কাজী মাজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।