চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর পরেই সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন রাজিবুল আহসান সুমন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর পরেই সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন রাজিবুল আহসান সুমন।
রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর পরেই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন রাজিবুল আহসান সুমন।তিনি তার ফেইসবুকে পদত্যাগ পত্র লিখে পোস্ট করে লিখেন রাজিবুল আহসান সুমন।
হুবহু নিম্নে পদত্যাগ পত্রটি তুলে ধরা হলঃ
তারিখ-৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং।
বরাবর,
মাননীয় চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ,
কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদ,
২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা।
বিষয়ঃ- নবগঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের “সহ-সভাপতি” পদ থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে।
জনাব,
আসসালামু আলাইকুম।
আমি রাজিবুল আহসান সুমন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি(২০০২-২০১০), সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক (১৯৯৮ -২০০০), সন্দ্বীপ সরকারি এ বি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি(১৯৯৪-১৯৯৬)। আমি দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা। আশি ও নব্বইয়ের দশক থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে চলমান স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী গনতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে চট্টগ্রামের ছাত্র ও গনআন্দোলনে সামনের কাতার থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকবার গ্রেফতার ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ২০১০ সালে সম্মেলন করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে দলের কোন পর্যায়ে গুরু দায়িত্বে না থাকায় বিগত এপ্রিল ২০২২ এ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত নোটিশ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আমি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ‘সভাপতি’ পদে প্রার্থী হিসাবে আমার সিভি জমা দিয়েছি। এর ধারাবাহিকতায় বিগত ২৯ মে ২০২২ এ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে দু’জন কাউন্সিলর আমাকে ‘সভাপতি’ প্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব ও সমর্থন করেন। আমি আশা করেছিলাম, রাজনীতিতে আমার মেধা, যোগ্যতা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করে আমাকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত করবেন। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাস পর অদ্য ৭ ফেব্রুয়ারী২০২৩ রাত ০০.০৯ মিনিটে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে পাঠানো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটিতে আমার নাম সহসভাপতি হিসাবে দেখে বিস্মিত ও হতাশ হয়েছি। বিগত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ আপনার সাথে একান্ত আলাপেও সহসভাপতি পদে আমাকে রাখার বিষয়ে আপনাকে নেতিবাচক মতামত প্রদান করেছি। যেহেতু আমি সহসভাপতি পদে সিভি জমা প্রদান করিনি, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সহসভাপতি পদে আমার নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করা হয়নি এবং যেহেতু সহ সভাপতি পদে থাকার আমার কোন আগ্রহ বা ইচ্ছা নাই, তাই নব গঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের “সহসভাপতি” পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।
অতএব, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটির “সহ-সভাপতি” পদ থেকে আমার পদত্যাগ গ্রহন করতঃ কমিটি থেকে আমার নামটি বাদ দেওয়ার অনুরোধ করছি।
নিবেদক,
(রাজিবুল আহসান সুমন)
চট্টগ্রাম।
ফোন-০১৭১২০২৩৭৩২
উল্লেখ্য যে,ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার(৬ ফেব্রুয়ারি)যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
যুবলীগের দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।কমিটিতে এস এম রাশেদুল আলমকে সভাপতি ও মো. শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে সামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, মো. নুরুল মোস্তফা মানিক, অ্যাড. দীপক কান্তি দত্ত, রাজিবুল আহসান সুমন, মো. মিজানুর রহমান, মো. শহিদুল আলম, নাছির হায়দার করিম বাবলু, আশেক ই ইলাইহী সোহেল ও মো. মোশারফ হোসেনকে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সৈয়দ মঞ্জুর আলম, মো. এরশাদ হোসেন ও আব্দুল করিমকে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে আবুল বসর, মো. ফোরকান, এম এ খালেদ চৌধুরী ও মো. আবু তৈয়বকে।
কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক করা হয়েছে মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. শাহজাহান, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র নাথ, ত্রাণ সম্পাদক মো. সাহেদ সরওয়ার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ওসমান চৌধুরী, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক মোশারফ হোসেন মান্না, পরিবেশ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. হাছান মুরাদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদ পেয়েছেন মো. আবু সৈয়দ।
সদস্য পদে কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন অ্যাড. এস এম অহিদুল্লা, মো. ফজলে কাদের ও বাবলু।