
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপ এলাকা সন্দীপ যেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাধীনতার পর থেকেই নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।বিশেষ করে চট্টগ্রামের কুমিরা থেকে সন্দীপ চ্যানেলের দুই পাড়ে একাধিকবার জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা বারবার ভেঙে যায়।তাই দ্বীপের সাড়ে ৪ লাখ মানুষের সন্দ্বীপ চ্যানেল পার হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
টেকসই জেটি ও টার্মিনালের অভাবে নৌযানে ওঠানামা করতে প্রায়ই যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।ভাটার সময় যাত্রীদের নদীর কাদাপানিতে হেঁটে গিয়ে নৌযানে উঠতে হয়।এছাড়া পণ্য পরিবহনেও মীরসরাই,কুমিরা ও সন্দ্বীপ এলাকার ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এসব বিবেচনায় চট্টগ্রামের মিরসরাই,সন্দ্বীপ এবং কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ অংশে জেটির আনুষাঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ প্রকল্পের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে কাজ বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।এই প্রকল্পের অধীনে সন্দ্বীপ অংশে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ১০ মিটার চওড়া জেটি নির্মাণ করা হবে।এছাড়া একাধিক টার্মিনাল ভবন,মালামাল ওঠানামার জন্য আরসিসি জেটিসহ বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণ হবে।
জেটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন,সন্দ্বীপ চ্যানেলটি সাড়ে ৪ লাখ মানুষ ব্যবহার করেন।পণ্য পরিবহনের জন্যও ব্যবসায়ীদের কাছে চ্যানেলটি গুরুত্বপূর্ণ।তাই জেটি নির্মাণ হলে সব শ্রেণির মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।তিনি আরও জানান,২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ জেটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও কষ্ট দূর হয়ে যাবে।এছাড়া পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। যেখানে সন্দ্বীপের জেটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৫৬ কোটি টাকা।আর মাঠ পর্যায়ে আগামী জানুয়ারি থেকে সন্দ্বীপে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।