
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলার চারণ কবি মোঃ শাহ বাঙালির দ্বিতীয় সন্তান সঙ্গীতশিল্পী দিদার বাঙালীর জানাযার নামায সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যু বরন করা দিদার বাঙ্গালী ছিলেন পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক।আজ স্থানীয় লেমু হোসেনের জামে মসজিদে তার জানাযায় ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে তাকে চীর সমাহিত করা হয়।এর পর সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামীলিগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার কবরে ফুলের তোড়া দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও দোয়া প্রার্থনা করা হয়। দিদার বাঙ্গালী প্রায় ৫৬ বছর বয়সে অকালে মৃত্যু বরন করেন বিভিন্ন প্রকার অসুস্থতা নিয়ে। মৃত্যুকালে তিনি ২ কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উক্ত জানাযায় সন্দ্বীপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন, সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম, বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব আলা উদ্দীন বেদন, অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ,পৌর আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক সফিকুল মাওলা, সাবেক মেয়র মাষ্টার ফখরুল ইসলাম,স্থানীয় কাউন্সিলর আলাউদ্দিন বাবলু, মহব্বত বাঙ্গালী সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও তার আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযার পুর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন দিদার বাঙ্গালী একজন রাজনীতিবিদ ছাড়া একজন সংস্কৃতি কর্মী, সমাজ সেবক ও পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলিগ যেমন একজন পরিক্ষিত নেতা হারালো তেমনি সমাজের মানুষও একজন সদালাপি ও আমোদ প্রিয় সংস্কৃতি কর্মীকে হারালো। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত ও তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে তার পিতা শাহ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার স্বরচিত বিভিন্ন সংগ্রামী গান গেয়ে বাংলার দামাল ছেলেদের উজ্বীবিত করতেন। এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি সভার পুর্বে তিনি গান পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধুর সভাকে প্রানবন্ত করে তুলতেন। তাই তিনি স্বাধীনতা পদকে ভুষিত হওয়ার কথা থাকলেও কোন অজানা কারনে তার নামটি বার বার বাদ পড়ে গেছে। তাই শাহবাঙ্গালীকে মরনোত্তর সন্মাননা প্রদান করে সন্মানীত করা উচিত বলে সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবী।