সন্দ্বীপবাসীর অনেকদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যুৎ সংযোগ যেন মরণ ফাঁদ।

0 ২০০,২০৮

চট্রগ্রামের সন্দ্বীপে অধিকাংশ বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলছে অসংখ্য ক্যাবল।এসব ক্যাবল সড়ক ও ফুটপাতে ঝুলে পড়েছে।যার কিছু মাটিতেও গড়াগড়ি খাচ্ছে।ঘর থেকে রাস্তায় বেড়োলেই চোখে পড়বে এমন শত শত ক্যাবল লাইনের ছড়াছড়ি।

বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো এসব ক্যাবলের কোনোটা ক্যাবল টিভির,কোনোটা ইন্টারনেট সংযোগের,আবার কোনটা জেনারেটর সহ রয়েছে অবৈধ বৈদ্যুতিক ক্যাবলও।অপরিকল্পিতভাবে এসব ক্যাবল বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানোর ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা,বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে সন্দ্বীপবাসী।

এদিকে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টদের কোন নজরদারী না থাকায় সড়ক ও অলিগলিতে ছেয়ে গেছে বিপজ্জনক ক্যাবলে। মাথার ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার ঝুলছে প্রায় প্রতিটি রাস্তাঘাটে।ফুটপাত ও রাস্তা ঘেঁষে বিদ্যুতের খুঁটিতে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলে আছে অবৈধ বিদ্যুৎ, জেনারেটর,স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের ডিশলাইন ও ইন্টারনেটের শতশত তার।বিদ্যুতের খুঁটি, সড়ক বাতির খুঁটি,ভবন,মার্কেট,দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে এলোমেলো ভাবে গেছে এসব তার।

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না কেউ। কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর খুুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তার স্থাপন করছে সংস্থাগুলো।এতে প্রাণহানি ও নানা দুর্ঘটনার পাশাপাশি ঘটছে সন্দ্বীপের সৌন্দর্যহানিও।প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষায় ঝুলন্ত তার ছিঁড়ে বিভিন্ন সময় ঘটছে অগ্নিকান্ড সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা বাঁড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।

সরেজমিনে দেখা গেছে,সন্দ্বীপের প্রধান সড়ক গুপ্তছড়া ভেঁড়ীবাঁধ থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স হয়ে পশ্চিমে ব্লক ভেঁড়ীবাঁধ-সহ দেঁলোয়ার খাঁ সড়ক এর উত্তর-দক্ষিণ দিকে চাঁরপাশের সড়ক গুলোসহ এলাকার অলি-গলিতে বৈদুতিক খুঁটি গুলোতে চুলের মতো ঝটলা পাকিয়ে আছে এসব ক্যাবলের তার।

তাছাড়া ফুটপাতের অবৈধ সংযোগ বৈদ্যুতিক খুটির লাইন থেকে নেওয়ায় খুটি গুলোতেও চুলের মতো ঝটলা পাকিয়ে থাকে।উপরের দিকে তাকাইলেই শুধু তার আর তারের ঝটলা দেখতে পাই।যেকোন সময় আবার তার ছিঁড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।বিভিন্ন সময়ে এসব তার ছিঁড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অনেকেই বলছেন,সন্দ্বীপ’কে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করতে এলোপাতাড়ি থাকা বিদ্যুৎলাইন মাটির নিচে নেওয়ার কাজটি দ্রুত হলেই সন্দ্বীপবাসীর মঙ্গল হবে ।

অন্যদিকে তারের জঞ্জালে সৌন্দর্যহানি হচ্ছে পুরো সন্দ্বীপের।পুরনো তারে ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো না কেটেই নতুন তার লাগিয়ে নেয় সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসিনতা ও যথাযথ আইন প্রযোগে ব্যর্থতার কারণে তারের জঞ্জাল দিন দিন বাড়ছে।তেমনি বাড়ছে সন্দ্বীপের জন-জীবন এর নিরাপত্তা ঝুঁকিও।

সৌন্দর্যে ঘেরা নান্দনিক সন্দ্বীপ গড়ে তুলতে ও দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষায় তারের জঞ্জাল সরানো জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতার কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সন্দ্বীপবাসী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!