
উঠতি বয়সী মেয়েদের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে যেতেন রাশেদা বেগম।পরে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন কাজে বাধ্য করতেন।২০০৪ সালে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে এক তরুণীকে যৌন কাজে বাধ্য করেন রাশেদা।পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী সুযোগ পেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিবার বাদী হয়ে থানা মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ১৯ বছর আগে এ মামলা করা হলেও আসাসি রয়ে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সোমবার(২২ মে)নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা রাশেদা বেগম নামে ওই আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(গণমাধ্যম)নুরুল আবছার জানান,আসামি রাশেদার বিরুদ্ধে ১৯ বছর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা হয়।এতে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।